ছোট সোনামসজিদ ‘সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন’ বলে আখ্যাত। কিন্তু এই সোনামসজিদ এলাকাতেই আরো প্রায় ১০টির মতো স্থাপনা আছে যা মোঘল আমলের তৈরি। বিশেষ করে ১৪ শতকের দিকে তৈরি বেশ কিছু মসজিদ আছে এই শিবগঞ্জ উপজেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ।
কিন্তু সমস্যা হলো এসব স্থাপনার মধ্যে সোনামসজিদ এবং তোহাখানা কম্প্লেক্স এর যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় খারাপ ভালো মিলে ইন্টারনেট এ অনেক ছবিই আছে এই ২ স্থানের। কিন্তু খনিয়াদিঘী মসজিদ, ধনিয়াচক মসজিদ, দারাসবাড়ি মসজিদ এর মতো দূর্গম এলাকার স্থাপনার ছবি ইন্টারনেট এ কিছু কিছু থাকলেও প্রফেশনালি সাবমিট করার মতো কোয়ালিটি ছবি নাই বললেই চলে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী ফটোগ্রাুফিক সোসাইটি এর সহযোগিতায় সারাদিনব্যপি এসব স্থাপনার ছবি সংগ্রহ করতে একটা ফটোওয়াক এর আয়োজন করা হয়েছিলো। দূর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে জনসংখ্যা সীমিত করা হয়েছিলো। ২জন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার এর সাথে আমি সহ আরেকজন হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে গেছিলাম।
সুফল ও এসেছে বেশ ভালো। ছবি তোলা আর ফটোগ্রাফি এর মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেদিন টের পেয়েছিলাম হাড়ে মাংসে। তার রেস এখন অবধি আছে কিছু। ১ হাঁটু পানিতে নেমে ছবি তুলতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রথম হয়েছিলো সেদিন।
ফটোওয়াক নিয়ে বিস্তারিত ব্লগ লিখবো একদিন। তবে ছবি তোলার কিছু ছবি এখনকার মতো পাওয়া যাবে এই ঠিকানায় https://commons.wikimedia.org/wiki/Category:Wikipedia_Photowalk_Shibgonj,_September_2016। আর সব ছবিই উন্মুক্ত লাইসেন্স এর আওতায় আপলোড করবেন *ফরিদ আখতার পরাগ* আর *সরকার কাইয়ুম* দুজনেই।
*ফরিদ আখতার পরাগ *সম্পর্কে কিছু কথা বলেই শেষ করি। মঞ্জুর আলম বেগ স্যার এর সরাসরি ছাত্র। মঞ্জুর আলম বেগ স্যার এর গড়া রাজশাহী ফটোগ্রাফি সোসাইটি এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তাঁর পাগলামো দেখলে তো আমার পরিশ্রম কিছুই মনে হয় না। গত কয়দিন থেকে পিছে লেগেছিলাম উনার। এখন উনিও এ্যফেকটেড প্রায়। আমার জন্মের ও ৮ বছর আগে থেকে ফটোগ্রাুফি এর কোর্স করান।
সিরিয়াস ফটোগ্রাফাররা তো ইউজুয়ালি লাইসেন্স সচেতন হয়। প্রথমে একটু কষ্ট হয়েছে লাইসেন্স এর ব্যাপার টা নিয়ে। এত কষ্ট করা ছবি ওপেন লাইসেন্স এ যাবে এটা চাইছিলেন না। অবশ্য গত পরশু এর কষ্ দেখে একটু একটু আঁচ করতে পেরেছি তাঁরা কেন সচেতন হন এত। এখন উনি নিজেই উনার ছাত্রদের বোঝান যে, ’ফটোগ্রাফার দের দায়ীত্ব সাধারন মানুষের চেয়ে বেশি। উইকিপিডিয়া এর মাধ্যমে তোমাদের চোখে দেশকে দেখাতে হবে।’
দারুন! আমি ইতিমধ্যে তোমার ফেসবুক থেকে ছবি নিয়ে আমাদের টুইটার চ্যানেলে প্রকাশ করেছি..
-হাছিব
On Thursday, 22 September 2016, Nahid Hossain nahid.rajbd09@gmail.com wrote:
ছোট সোনামসজিদ ‘সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন’ বলে আখ্যাত। কিন্তু এই সোনামসজিদ এলাকাতেই আরো প্রায় ১০টির মতো স্থাপনা আছে যা মোঘল আমলের তৈরি। বিশেষ করে ১৪ শতকের দিকে তৈরি বেশ কিছু মসজিদ আছে এই শিবগঞ্জ উপজেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ।
কিন্তু সমস্যা হলো এসব স্থাপনার মধ্যে সোনামসজিদ এবং তোহাখানা কম্প্লেক্স এর যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় খারাপ ভালো মিলে ইন্টারনেট এ অনেক ছবিই আছে এই ২ স্থানের। কিন্তু খনিয়াদিঘী মসজিদ, ধনিয়াচক মসজিদ, দারাসবাড়ি মসজিদ এর মতো দূর্গম এলাকার স্থাপনার ছবি ইন্টারনেট এ কিছু কিছু থাকলেও প্রফেশনালি সাবমিট করার মতো কোয়ালিটি ছবি নাই বললেই চলে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী ফটোগ্রাুফিক সোসাইটি এর সহযোগিতায় সারাদিনব্যপি এসব স্থাপনার ছবি সংগ্রহ করতে একটা ফটোওয়াক এর আয়োজন করা হয়েছিলো। দূর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে জনসংখ্যা সীমিত করা হয়েছিলো। ২জন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার এর সাথে আমি সহ আরেকজন হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে গেছিলাম।
সুফল ও এসেছে বেশ ভালো। ছবি তোলা আর ফটোগ্রাফি এর মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেদিন টের পেয়েছিলাম হাড়ে মাংসে। তার রেস এখন অবধি আছে কিছু। ১ হাঁটু পানিতে নেমে ছবি তুলতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রথম হয়েছিলো সেদিন।
ফটোওয়াক নিয়ে বিস্তারিত ব্লগ লিখবো একদিন। তবে ছবি তোলার কিছু ছবি এখনকার মতো পাওয়া যাবে এই ঠিকানায় https://commons.wikimedia.org/wiki/Category:Wikipedia_Photowalk_Shibgonj,_September_2016। আর সব ছবিই উন্মুক্ত লাইসেন্স এর আওতায় আপলোড করবেন *ফরিদ আখতার পরাগ* আর *সরকার কাইয়ুম* দুজনেই।
*ফরিদ আখতার পরাগ *সম্পর্কে কিছু কথা বলেই শেষ করি। মঞ্জুর আলম বেগ স্যার এর সরাসরি ছাত্র। মঞ্জুর আলম বেগ স্যার এর গড়া রাজশাহী ফটোগ্রাফি সোসাইটি এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তাঁর পাগলামো দেখলে তো আমার পরিশ্রম কিছুই মনে হয় না। গত কয়দিন থেকে পিছে লেগেছিলাম উনার। এখন উনিও এ্যফেকটেড প্রায়। আমার জন্মের ও ৮ বছর আগে থেকে ফটোগ্রাুফি এর কোর্স করান।
সিরিয়াস ফটোগ্রাফাররা তো ইউজুয়ালি লাইসেন্স সচেতন হয়। প্রথমে একটু কষ্ট হয়েছে লাইসেন্স এর ব্যাপার টা নিয়ে। এত কষ্ট করা ছবি ওপেন লাইসেন্স এ যাবে এটা চাইছিলেন না। অবশ্য গত পরশু এর কষ্ দেখে একটু একটু আঁচ করতে পেরেছি তাঁরা কেন সচেতন হন এত। এখন উনি নিজেই উনার ছাত্রদের বোঝান যে, ’ফটোগ্রাফার দের দায়ীত্ব সাধারন মানুষের চেয়ে বেশি। উইকিপিডিয়া এর মাধ্যমে তোমাদের চোখে দেশকে দেখাতে হবে।’
ফেসবুক থেকে ছবি নিতে হয়েছে বলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। গতকালকেই কিছু ছবি কমন্স এ আপলোড করেছিলাম। টায়ার্ডনেস প্লাস পরবর্তি ব্যস্ততায় কম্পিউটারে বসতে পারিনি জুতমতো তাই মেইলিং লিষ্ট এর জন্য লিখা হয়নি।
টুইটার পোষ্ট এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ইংরেজী রিপোর্ট ও লিখবো একটা ছোট্ট করে। আর রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগ লিখবো। বিশেষ করে প্রধান ট্যুরষ্ট স্পট থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা মজার ছিলো , একহাতে জুতা আর আরেকহাতে ক্যামেরা ধরে পিঠে লেন্স এর ব্যাগ নিয়ে হাঁটু পানিতে হাঁটার অভিজ্ঞতা নিয়েও লিখবো।
নাহিদ হোসেন ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা এরকম অভিনব একটা আয়োজনের জন্য। আমার অভিজ্ঞতায় দেখা, বাংলাদেশ থেকে কমন্সে তেমন একটা উচু মানসম্পন্ন ফটোগ্রাফি আপলোড হয়না, কারণ সাধারণ জনতাই মূলত কমন্সে ছবি দেয়। হয়তো এবার অসাধারণ কিছু আলোকচিত্র পাওয়া যাবে এ উপলক্ষ্যে।
On Thursday, September 22, 2016, Nahid Hossain nahid.rajbd09@gmail.com wrote:
ফেসবুক থেকে ছবি নিতে হয়েছে বলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। গতকালকেই কিছু ছবি
কমন্স এ আপলোড করেছিলাম। টায়ার্ডনেস প্লাস পরবর্তি ব্যস্ততায় কম্পিউটারে বসতে পারিনি জুতমতো তাই মেইলিং লিষ্ট এর জন্য লিখা হয়নি।
টুইটার পোষ্ট এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ইংরেজী রিপোর্ট ও লিখবো একটা ছোট্ট
করে। আর রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগ লিখবো। বিশেষ করে প্রধান ট্যুরষ্ট স্পট থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা মজার ছিলো
, একহাতে জুতা আর আরেকহাতে ক্যামেরা ধরে পিঠে লেন্স এর ব্যাগ নিয়ে হাঁটু
পানিতে হাঁটার অভিজ্ঞতা নিয়েও লিখবো।
wikipedia-bn@lists.wikimedia.org