একটি বিশ্ব মানের সম্মেলনে আয়োজনের পরিবেশ, মাত্রা, উপস্থাপনার উপাদান- উপযোগ সব কিছু উক্ত দেশ ও মাটির ইতিহাস,
ঐতিহ্য এবং সমাজ ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে বা পরিচ্ছন্ন প্রভাব ফেলে।
বিগত কিছুদিন পূর্বে সরকারী পর্যায় হতে আমরা দুইটি তেমন বড় আয়োজন দেখেছি যাতে অনুষ্ঠান বাংলাদেশাঞ্চলে হলেও বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজিক রীতিনীতি এমনকি
কলাকুশলীরাও গুরুত্ব
পায়নি। মোদ্দা কথা, অবহেলিত হয়েছে।
মূল কথাটি উপরে লিখে পরে আমার মনোভাব প্রকাশ করার প্রয়াস পাচ্ছি।
সকলকে আন্তরিক শুভ কামনা।
এক ভাষাভাষি মানুষের একত্রে সম্মেলন হতেই পারে। তাতে আমার কোন অপত্তি নেই। তবে, প্রতিটি জনগোষ্টির আলাদা আলাদা কিছু নৈতিকতা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পরিচিতি রয়েছে।
যে অঞ্চলেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হোক না কেন তাতে যেন উক্ত অঞ্চলের কলাকুশলীরা নিজেদের কথা- নিজেদের চিন্তা- দক্ষতা প্রকাশ করা ও অর্জন করার সুযোগ পায়, সে সুযোগ যেন ব্যহত না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
তাছাড়া বিগত 2011 সাল হতে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের আর্ন্তজাতিক সম্পাদকের দায়িত্ব ও আর্ন্তজাতিক অনষ্ঠান আয়োজক হিসাবে ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় ভর দিয়ে বলতে চাই, আর্ন্তজাতিক সমাজে রাষ্ট্রিয় অভূদ্যয়ের সময়কাল, জনসংখ্যার আধিক্য এবং
সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির কারনে বাংলাদেশ ও ভারত মিলে কিছু করলে আর্ন্তজাতিক সমাজে সে অনুষ্ঠানটির আয়োজক হিসাবে মূলত ভারতের নামই উচ্চারিত হবে। কষ্ট করে বাংলাদেশ নামটি ওরা উচ্চারণ নাও করতে পারে। মনে নাও রাখতে পারে।
তাই আমি মনে করি, উভয় অঞ্চলের সম্মেলন হোক বরং আলাদা আলাদা ভাবে
আলাদা আলাদা দিনে আয়োজন হোক এবং উভয় দেশের প্রতিনিধিরা তাতে অংশ গ্রহণ করুক। উভয় দেশের কর্মীরা কাতে উপস্থাপিত হোক। এটাই তুলনা মূলক বেশি প্রভাব রাখতে সক্ষম হবে। সে সাথে উভয় সম্পদায়ের জন্য পারষ্পরিক মিলনের- ভাব বিনিময়ের একাধিক আন্তর্জাতিক সুযোগও সৃষ্টি হবে।
আমি একান্তই আমার নিজের মনোভাব প্রকাশ করলাম।
কাউকে কোনরুপ কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়।
শুভ কামনা
sufidisciple
S A Medu Surur
On Friday,
August 22, 2014 4:10 PM, Tanvir Rahman <wikitanvir@gmail.com> wrote: